মনির খান, স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইলের লোহাগড়া সহ বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায়ও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গ্রামকে শহরে পরিণত করতে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রচেষ্টায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে বিদ্যুৎ গতিতে।

রাস্তা-ঘাট সংস্কারের পাশাপাশি চরাঞ্চলের প্রতিটি পরিবারকে সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তনেও ব্যপক ভুমিকা রেখেছে এ সরকার।

দেশের অন্যান্য উপজেলায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র গণমাধ্যমে ব্যপক ভাবে প্রচার হলেও কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারনে তা হচ্ছে না। ফলে সরকারের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে পারছে না সাধারণ মানুষ। এমনকি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছেও উন্নয়ন কাজের তথ্য গোপন করছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ। বিশেষ করে লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তর থেকে কোন তথ্যই সাংবাদিকদের দেওয়া হয় না।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. রইচ উদ্দিন। গত ফেব্রয়ারীর ১৫ তারিখে স্থানীয় সাংবাদিকরা কৃষি দপ্তরের কিছু তথ্য চাইলে রইচ উদ্দিন ছাপ ছাপ জানিয়ে দেন তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। তার পরে দেখা যাবে। পরে লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক করতোয়া পত্রিকার সাংবাদিক কাজী আশরাফ ১৭ ফেব্রয়ারী তথ্য প্রাপ্তির জন্য তথ্য অধিকার আইনের নির্ধারিত ফরম এ তিনটি বিষয়ে কৃষকের তথ্য চেয়ে আবেদন করেন।

কিন্তু কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন আবেদন প্রাপ্তির ৪৬ দিন পার হলেও কোন তথ্য প্রদান করেন নাই। কৃষি কর্মকর্তার এমন আচারনে তথ্যের অবাধ প্রবাহ বাধাঁগ্রস্থ হবে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করনের নিমিত্তে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ কতটুকু কার্যকর হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শেখ. নজরুল ইসলাম বলেন, সমাজ দুর্নীতিতে ভরে গেছে।

সুই ফেলবারমত জায়গা নেই। যেহেতু আমি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হয়েও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারিনা। এটাও দুর্নীতি। যে কর্মকর্তা তথ্য গোপন করবেন নিশ্চিত ওই কর্মকর্তা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক কাজী আশরাফ এর সাথে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রইচ উদ্দিনের, তিনি বলেন, লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী আশরাফ কৃষকের কিছু তথ্য প্রথমে মৌখিক ভাবে পরে লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন। কিন্তু সময়ের অভাবে দিতে পারিনি।

এহেন আচরণে সুস্পষ্ট বোঝা যায় ওই কৃষি কর্মকর্তা দুর্নীতির সাগরে ডুবে আছে। সাংবাদিকদের তথ্য দিলে ওই দুর্নীতির গোমর ফাঁস হয়ে যাবে।